ক্রিপ্টো মাইনিং (আহরণ) অনেকটা খনি থেকে খনিজ পদার্থ আহরণের মতো। সব দিকে মিল আছে, কিন্ত এর কোনো বাস্তব খনি নেই। বাস্তব কোনো খনিজ পদার্থও নেই। তবু এটাকে কম্পিউটার, মোবাইল বা তদ্রুপ মেশিন দিয়ে আহরণ করতে হয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই মাইনিংএর নামে কিছু ভুয়া অ্যাপ প্লেস্টোরে পাওয়া যাচ্ছে, যেগুলো শুধু গ্রাহকের তথ্যই নয় নিয়ে নিচ্ছে অর্থও। নিরাপত্তা সংস্থা ট্রেন্ড মাইক্রোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভুয়া অ্যাপগুলোতে গ্রাহকের ফোনে অকারণে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এছাড়াও, কিছু অ্যাপে মাইনিংয়ের জন্য ১৫ ডলার মাসিক সাবস্ক্রিপশন নেওয়া হচ্ছিল। যদিও, অতিরিক্ত পেমেন্ট করেও মাইনিংয়ে কোনও সুবিধা পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই এইধরণের অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে সাবধান থাকতে হবে। জেনে নেওয়া যাক ভুয়া ক্রিপ্টো মাইনিং অ্যাপ চেনা যাবে যেভাবে
অ্যাপের রিভিউ মন দিয়ে পড়ুন
ভুয়া অ্যাপে অনেক সময় ৫ স্টার রিভিউ দেখতে পাবেন। সেই ধরনের রিভিউ না দেখে ১ স্টার রিভিউগুলি মন দিয়ে পড়ুন। রিভিউ পড়ে সন্দেহজনক মনে হলে সেই অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না।
ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট নম্বর দিয়ে দেখুন
যে কোনও মাইনিং অ্যাপ সেট আপ করার সময় প্রথমে একটি ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট নম্বর দিয়ে দেখুন। সেই নম্বরকে ভুয়া হিসাবে চিহ্নিত করতে না পারলে তা নিঃসন্দেহে ভুয়ো অ্যাপ।
মাইনিং চলার সময় ফোন রিস্টার্ট করুন
মাইনিং শুরু হওয়ার সময় ডিভাইস রিস্টার্ট হলে মাইনিং অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ডিলিট হয়ে যাবে। এর ফলে মাইনিং কাউন্টার শূন্যতে ফিরে আসবে।
উইড্রল ফি যাচাই করুন
ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যান্ডলিং করার জন্য প্রয়োজন আলাদা ফি, যা ক্লাউড মাইনিংয়ের থেকে অনেকটাই বেশি। তাই কোনও অ্যাপ যদি বিনামূল্যে উইড্রল করার সুযোগ দেয়, সেই অ্যাপকে সন্দেহর চোখে দেখতে হবে।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক