গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গত ২৭শে ফেব্রুয়ারী শিশু হাসনা খাতুন হেনা(১০) এর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করার ঘটনায় আটক আসামী মসজিদের মুয়াজ্জিন মোরসালীন (১৯) তার দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত ২৬শে ফেব্রয়ারী সকালে আসামী মোরসালীন যাথারীতি মসজিদের ভিতর মক্তবে পড়ানো শেষে হাসনা খাতুন হেনাকে ১০ টাকার নোট দিয়ে দোকান থেকে বিস্কুট আনতে বলে। বিস্কুট আনার পর হাসনা খাতুন হেনা সহ আরো দুইটি মেয়েকে বিস্কুট খাওয়ায়। সকাল ৮ টার দিকে আসামী বাইসাইকেল যোগে বর্ধন কুঠি এলাকায় জহিরুলের বাড়িতে মক্তব পড়ানোর জন্য যায়। মক্তব পড়ানো শেষে আনুমানিক ৯ টার দিকে সে তার মসজিদ সংলগ্ন আসামীর বসবাসরত টিনের ঘরে আসে এবং পাশের এক বাড়ীতে সকালের খাবার খেয়ে আসার পথে রাস্তায় শিশু কন্যা হাসনাকে দেখে ডাক দিলে আসামীর থাকার জায়গা টিনের ঘরে আসে শিশু হাসনা। ঘরে আসলে প্রথমে আসামী মোরসালীন হাসনা খাতুন হেনাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে এতে হাসনা খাতুন হেনা বাঁধা প্রদান করে এবং তার নানীকে বলে দেবে বলে জানান। তখন মোরসালীন শিশু হাসনার গলা টিপে ধরলে হাসনা নিস্তেজ হয়ে পরে এবং তখন তাকে মোসালিন ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে শিশু হাসনার পরিহিত হিজাব দিয়ে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করে। হত্যা করার পর মসজিদের বালু ভর্তি বস্তা খালি করে শিশু কন্যা হাসনা কে বস্তা বন্দি করে। এরপর হত্যাকান্ডের ঘটনাকে ভিন্যখাতে প্রবাহিত করার জন্য সকাল ১১ টার দিকে লাশটি তার বাইসাকেলের ক্যারিয়ারের পিছনে বেঁধে নিয়ে উপজেলার বর্ধন কুঠির মানিক কাজীর বাঁশ ঝাড়ের ভিতর ফেলে রেখে আসে। উক্ত ঘটনায় সন্দেহ ভাজন আরো তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত অন্য তিনজন হলেন আরাফাত আব্দুল্লাহ, আল মামুন এবং আল-আমিন।
তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রেস ব্রিফিং এ নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।