বন্ধুর হয়ে পরিক্ষা দেওয়ায় টাঙ্গাইল শহরের অক্সফোর্ড কলেজ অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির সাবেক শিক্ষার্থী রায়হান কবিরকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে তার বন্ধু মো. সায়েম-এর চতুর্থ সেমিস্টারের ড্রয়িং-২ (ক্যাড) বিষয়ের রেফার্ড পরীক্ষা দিতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েন। জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাবলী শবনম এ রায় দেন।
জানা যায়, সকালে টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে টাঙ্গাইল শহরের অক্সফোর্ড কলেজ অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির চতুর্থ সেমিস্টারের ড্রয়িং-২ (ক্যাড) বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে প্রক্সি দিতে আসা রায়হান কবিরের প্রবেশপত্রে মূল পরীক্ষার্থীর ছবির মিল না পাওয়ায় ওই কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষক খাতাটি নিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে রায়হান কবিরকে ওই কেন্দ্রের অধ্যক্ষ্যের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি জানায়, টাঙ্গাইল শহরের অক্সফোর্ড কলেজ অব সায়েন্স এন্ডটেকনোলজির চতুর্থ সেমিস্টারের ড্রয়িং-২ (ক্যাড) বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে প্রক্সি দিতে আসা রায়হান কবিরের প্রবেশপত্রে মূল পরীক্ষার্থীর ছবির মিল না পাওয়ায় ওই কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষক খাতাটি নিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে রায়হান কবিরকে ওই কেন্দ্রের অধ্যক্ষ্যের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি জানায়, টাঙ্গাইল শহরের অক্সফোর্ড কলেজ অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে অষ্টম পর্বে অধ্যয়নরত তার বন্ধু মো. সায়েমের পরিবর্তে তিনি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।
কেন্দ্র সচিব টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ বিএম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অক্সফোর্ড কলেজ অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী মো. সায়েমের এ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও তাকে পরবর্তী তিন শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য অনুমতি না দিতে সুপারিশ করা হয়েছে।’
ম্যাজিস্ট্রেট বাবলী শবনম বলেন, ‘রায়হান কবির তার বন্ধু মো. সায়েমের চতুর্থ সেমিস্টার এর ড্রয়িং-২ (ক্যাড) বিষয়ের রেফার্ড পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে যায়। পরে শিক্ষকরা তার প্রবেশপত্র ও কাগজপত্র যাচাই করলে রায়হান ভ‚য়া প্রমাণিত হয়। পরে তাকে এক বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তাকে দুইশ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।