শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল | ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
Grameennews24 - grameennews24tv@gmail.com - facebook.com/grameennews24tv

খুলনায় বাবা-ছেলেকে হত্যার ঘটনায় ১৭ আসামীর যাবজ্জীবন- গ্রামীন নিউজ২৪

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

খুলনার তেরখাদা উপজেলার আলোচিত জোড়া খুন মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলামসহ ১৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

খুলনা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার রোববার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এর আগে দুপুর সাড়ে ১১টায় প্রিজন ভ্যানে করে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয় আসামিদের। মামলার রায় শোনার জন্য তেরখাদা ছাগলাদাহ ববিনিয়ন থেকে কয়েক হাজার মানুষ আদালত চত্বরে ভিড় করেন। আদালতের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাদের সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট রাতে তেরখাদা উপজেলার পহরডাঙ্গা গ্রামের পিরু শেখ ও তার পরিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ২টার দিকে মামলার আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিঁধ কেটে ভিকটিমের ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। অন্য সদস্যদের ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দেয় তারা। ঘরে প্রবেশ করে আসামীরা পিরু শেখকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তার আত্মচিৎকারে পেরু শেখের ছেলে নাইম বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি ভাবে কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলে নাইমের মৃত্যু হয়। আসামিরা চলে যাওয়ার পর পিরু শেখকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থাতেই পিরু মারা যায়।

এ ব্যাপারে নিহত পিরুর স্ত্রী ঘটনার দুদিন পর বাদী হয়ে তেরখাদা থানায় স্বামী ও সন্তান হত্যার অভিযোগে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।