মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ১৩তম বার্ষিকীতে নিহতদের স্মরণে আজ ২৬ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মোমবাতি প্রজ্বলন ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। উক্ত কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন, সহ-সভাপতি শাহীন মাতুব্বর, নূর আলম সরদার, এম আমিনুল শিকদার, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মিলন ঢালীসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মোমবাতি প্রজ্বলন ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী কর্মসূচীর বক্তব্যে সংগঠন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে সন্ত্রাস ও মৌলবাদ সৃষ্টির মাস্টারমাইন্ড পাকিস্তান নামক জঙ্গি রাষ্ট্র। ২০০৮ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তানের কয়েকজন জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্তৃক নির্মম হামলায় নিহত দেশী-বিদেশী নাগরিকদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মদদদাতা পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন বলেন, “বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে সন্ত্রাস ও মৌলবাদ সৃষ্টির মাস্টারমাইন্ড পাকিস্তানের কয়েকজন সন্ত্রাসী কর্তৃক ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাই হামলায় ১৫৬ জন দেশী-বিদেশী নাগরিক নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন। মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ১৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে মুম্বাই হামলায় নিহত সকলকে আমরা আজ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা পাকিস্তানের বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের একটি অংশ। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা হত্যাকাণ্ড, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা সবকিছুই পাকিস্তান নামক জঙ্গি রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে সম্পাদিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত জঙ্গি মুফতী আব্দুল হান্নান পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছিল। একুশে আগস্টের আর্জেস গ্রেনেড পাকিস্তানের আএসআই সরবরাহ করেছিল। এসব সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পাকিস্তান এখন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। একাত্তরে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তান এখনো নানাবিধ ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে। এদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।”