গাইবান্ধার ফুলছড়িতে মাধ্যমিকের ১০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে করোনার প্রথম ডোজের টিকা প্রদান করা হয়েছে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল-কলেজ পড়ুয়া এসব শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়। তবে নানা কারণে কিছু শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ থেকে বাদ পড়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদেরকেও টিকার আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ১৯টি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি দাখিল মাদ্রাসা ও ৬টি কলেজ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী রয়েছে ১১ হাজার ৩২৭ শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে সম্প্রতি সব শিক্ষার্থীর নামের একটি তালিকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্স সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠান মিলে ১০ হাজার ৪৪০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আগামী এক মাস পর টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ডোজ পাবে।
উদাখালী ইউনিয়নের ছালুয়া গ্রামের তাজুল ইসলাম, বুড়াইল গ্রামের জামিরুল ইসলাম সহ কয়েকজন অভিভাবক বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা প্রদানের পরেও তাদের পাঠদান বন্ধ রাখা দু:খজনক। শিক্ষার্থীরা যেহেতু টিকার আওতায় এসেছে, তাই স্বল্প পরিসরে হলেও পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন।
উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, টিকা গ্রহণের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ১২ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে আগেই অবগত করেছিলেন। করোনার টিকা গ্রহনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষকরা সাথে থেকে শিক্ষার্থীদের নৌকাযোগে নদীপথ পাড় করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টিকাদান কেন্দ্রে টিকার ব্যবস্থা করা হয়। টিকাযোগ্য ৩৯২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২২০ জন টিকা গ্রহন করেছে, তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। নানা জটিলতার কারণে যেসব শিক্ষার্থীর টিকাবাদ পড়েছে, তাদের টিকার আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুজ্জামান বলেন, ‘মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। তবে শিক্ষা অফিসের দেওয়া তালিকা অনুসারে, কিছু শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকার ফলে বাদ পড়েছে। অনুপস্থিতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবগত করা হয়েছে। সরবরাহ না থাকায় ১২ থেকে ১৮ বছরের অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের টিকাপ্রদান কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।